তথ্য প্রযুক্তির যুগে আমরা কম বেশি সবাই ” IP Address কি ” এই কথাটি শুনেছি। বর্তমান ICT বা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগে IP Address কি ; IP Address-এর বিভিন্ন ভার্সন; IP Address কি ভাবে কাজ করে; কিভাবে একটি ওয়েবসাইটের আইপি অ্যাড্রেস খুজে বের করা যায় এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আমাদের ধারণা থাকা উচিত। তাই আজকের এই আর্টিকেলে IP Address কি এবং IP Address-এর বিভিন্ন ভার্সন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
IP Address কি?
IP Address হলো Internet Protocol Address। ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত প্রতিটি কম্পিউটারের একটি ঠিকানা থাকে এ ঠিকানাকে বলা হয় আইপি অ্যাড্রেস (IP Address)।
তথ্য আদান প্রদানে সাধারানত IP Address ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আইপি অ্যাড্রেসের সাহায্যে নেটওয়ার্কভুক্ত লক্ষ লক্ষ কম্পিউটার পৃথকভাবে সনাক্ত করা সম্ভব হয়। সাধারণ ব্যবহারকারীগণ IP Address এর মাধ্যমে তথ্যবলি গ্রহণ ও প্রেরণ করে থাকেন। আইপি অ্যাড্রেসকে বিভিন্ন ক্যারেক্টারের সাহায্যে চিহ্নিত করা যায়। ক্যারেক্টার ফর্মে আইপি অ্যাড্রেসের নামকে ডোমেইন নেম বলে।
IP Address-এর ভার্সন
আইপি অ্যাড্রেসের দুইটি ভার্সন IPV4 ও IPV6 চালু আছে। IP পরিকল্পনাকারীরা Internet Protocol Address কে ৩২ বিট দিয়ে প্রকাশ করেছিলেন এবং এই পদ্বতিটি Internet Protocol Vesrson 4 (IPV4) নামে পরিচিত যা এখনও ব্যবহৃত হচ্ছে। নেটওয়ার্ক বিস্তৃতির কারণে এবং অব্যবহৃত অ্যাড্রেস দিন দিন কমতে থাকার কারণে ১৯৯৫ সালে IPV6 নামে পরিচিত নতুন একটি অ্যাড্রেসিং পদ্বতি চালু করা হয়। IPV6 পদ্বতিতে প্রতিটি অ্যাড্রেসকে প্রকাশ করার জন্য ১২৮ বিট ব্যবহৃত হয়। Internet Protocol Address গুলোকে স্টোর করার জন্য বাইনারী সংখ্যা পদ্বতি ব্যবহার করা হয়। বাইনারী সংখ্যা পদ্বতি প্রকাশ করার জন্য সাধারণত মানুষের পাঠ উপযোগী সংকেত ব্যবহার করা হয়, উদাহরণ স্বরুপ বলা যায়, 180.210.130.13 (IPV4) এবং 2001:db8:0:1234:0:567:1:1 (IPV6)।
বিশ্বব্যাপী Internet Protocol Address Space নির্ধারণের কাজটি Internet Assigned Numbers Authority (ICNA) পরিচালনা করে থাকে এবং স্থানীয়ভাবে পরিচালনা করার জন্য ICNA ৫টি Regional Internet Registry (RIRs) নিয়োগ করেছে যারা স্থানীয় ইন্টারনেট রেজিষ্ট্রিকে (Internet Service Provider) এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে IP Address Block নির্ধারণ করে দিয়ে থাকে ।
IPV4 ভার্সন
IPV4 সিস্টেমে প্রতিটি আইপি অ্যাড্রেসকে প্রকাশের জন্য ৩২ বিট প্রয়োজন হয়। ৩২ টি বিট ৪ টি অকটেডে ভাগ করা থাকে। প্রতিটি অকটেড (.) দ্বারা পৃথক করা হয়। আইপি অ্যাড্রেসের প্রথম দুইটি অকটেড (প্রথম ১৬ বিট) নেটওয়ার্ক আইডি (Network ID) এবং পরের দুইটি অকটেড (পরবর্তী ১৬ বিট) হোস্ট আইডি (Host ID) এর জন্য বাবহৃত হয়। নেটওয়ার্ক বিস্তৃতির কারণে বর্তমানে IPV6 নামে ১২৮ বিট আইপি অ্যাড্রেস চালু হয়েছে।
নিচে একটি IPV4 আইপি অ্যাড্রেস দেখানো হলো-
আইপি অ্যাড্রেস মনে রাখার সুবিধার জন্য বাইনারির সংখার পরিবর্তে দশমিক সমকক্ষ সংখ্যা ব্যবহার করা হয়। যেমন উপরের IPV4 আইপি অ্যাড্রেসকে 192.1322.16.1 ভাবে লেখা যায়।
নিচে আইপি অ্যাড্রেস সহ একটি নেটওয়ার্ক দেখানো হলো-
IPV4 Subnet
Internet Protocol চালুর প্রথম দিকে নেটওয়ার্ক প্রশাসকরা IP Adress কে দুইটি অংশে বিভক্ত করেনঃ একটি হলো নেটওয়ার্ক আইডি (Network ID) এবং অপরটি হলো হোস্ট আইডি (Host ID) । নেটওয়ার্ক আইডি হলো আইপি অ্যাড্রেসের প্রথম ১৬বিট বা প্রথম দুইটি অকটেট এবং পরবর্তী ১৬টি বিট বা দুইটি অকটেট নিয়ে হল হোস্ট আইডি। নেটওয়ার্ক আইডি Internet Protocol-এ সুনির্দিষ্ট নেটওয়ার্কটি খুজে বের করে এবং হোস্ট আইডি দিয়ে ওই নেটওয়ার্কের ডিভাইস বা কম্পিউটারটিকে চিহ্নিত করে। এই ঘটনাটিকে আমরা বাসা বা বাড়ির ঠিকানা সাথে তুলনা করতে পারি। মনেকরুন, আপনি একটি ভবন বা বাড়ি খুজে বের করবেন। ভবন বা বাড়িটি খুজে বের করার জন্য প্রথমে আপনাকে এলাকাটি খুজে বের করতে (Network ID) হবে এবং পরবর্তিতে আপনি বাড়ির নম্বর (Host ID) দিয়ে ভবনটিকে শনাক্ত করতে পারবেন। কিন্তু দিন দিন নেটওয়ার্কের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় নেটওয়ার্ক খুজে বের করার এই পদ্বতি সমস্যার সম্মুখীন হয়। কারণ এক অকটেট দিয়ে বিপুল সংখ্যক নেটওয়ার্ক এর জন্য স্বতন্ত্র নেটওয়ার্ক আইডি নম্বর প্রদান করা সম্ভবপর ছিল না। এই কারণে ১৯৮১ সালে Internet Addressing Specification সংশোধন করে Classroom Network পদ্বতি প্রবর্তন করা হয়।
Classroom Network পদ্বতি নেটওয়ার্ক আইডি নম্বরের অসুবিধাটি দুর করার পাশাপাশি সাব নেটওয়ার্ক ডিজাইন ও সহজ করে দেয়। Classroom Networkপদ্বতিতে IP Address-এর প্রথম ৮ বিট বা ১ অকটেটের প্রথম তিন বিটকে IP Address-এর ক্লাশ (class) বলা হয়। Public Unicast Addressing এর জন্য তিনটি ক্লাশ (class) A,B এবং C তৈরি করা হয়। ক্লাশের উপর নির্ভরকৃত কতগুলো স্বতন্ত্র নেটওয়ার্ক আইডি নম্বর প্রদান করা যাবে। নেটওয়ার্ক আইডি নম্বরের সংখ্যা যত বেশি হোস্ট আইডি নম্বরের সংখ্যা তত কম। নিচের টেবিলে Classroom Network সম্পর্কে একটু ধারণা দেয়া হল।
Classroom Network Syestem
ক্লাশ | ক্লাশ নির্ধারণী প্রথম বিট সমূহ | প্রথম অকটেটের সীমা | নেটওয়ার্ক নম্বর ফরমেট | হোস্ট নম্বর ফরমেট | নেটওয়ার্ক সংখ্যা | প্রতি নেটওয়ার্কে হোস্টের সংখ্যা |
A | ০ | ০-১২৭ | a | b.c.d | ২৭=১২৮ | ২২৪=১৬৭৭৭২১৬-২ (কারণ ০ আর ১২৭ অ্যাড্রেসিং করার জন্য ব্যবহার করা যায় না) ১৬৭৭৭২১৪ |
B | ১০ | ১২৮-১৯২ | a.b | c.d | ২১৪=১৬৩৮৪ | ২১৬=৬৫৫৩৬ |
C | ১১০ | ১৯৩-২২৩ | a.b.c | d | ২২১=২০৯৭১৫২ | ২৮=২৫৬ |
IPV4 Private Address
প্রথমের দিকে নেটওয়ার্ক পরিকল্পনা করার সময় সমস্ত হোস্ট কম্পিউটার বা ডিভাইসকে স্বতন্ত্র IP Address দেওয়ার চিন্তা করা করা হয়েছিল। কারণ ইন্টারনেটের সমস্ত কম্পিউটার যাতে একে অপরের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারে। তবে Private Network তৈরি হওয়ার ফলে একটি বিষয় দেখা গেল। যেমন স্বতন্ত্র আইপি অ্যাড্রেসের সবসময় প্রয়োজন নেই এবং অন্যদিকে ইন্টারনেটের ব্যবহার দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় Pablic Address সংরক্ষন করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। Private Network-এর কম্পিউটারগুলো ইণ্টারনেটে সরাসরি যুক্ত থাকে না, যেমনঃ ব্যাংক, বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার যেগুলো একে অপরের সাথে TCP/IP এর মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করে সে কম্পিউটারগুলোর সর্বজনীন স্বতন্ত্র IP Address-এর প্রয়োজন নেই। Private Network গুলোর জন্য RFC 1918 IP Address-এর ৩টি শ্রেনী সংরক্ষন করা রয়েছে । Private Network Address গুলো ইন্টারনেটে রুট করা হয় না এর ফলে Private Network Address গুলো ব্যবহার করার জন্য আইপি অ্যাড্রেস রেজিস্টির সাথে কোন রকম সমন্বয়ের প্রয়োজন নেই। প্রাইভেট নেটওয়ার্কের হোস্ট কম্পিউটার গুলো NAT এর মাধ্যমে ইন্টারনেটে সংযুক্ত থাকে।
IANA-Protected Private IPV4 Network Class
শুরু | শেষ | অ্যাড্রেসের সংখ্যা | |
২৪-বিট ব্লক (/৮ উপসর্গ(prefix), ১ × A) | ১০.০.০.০ | ১০.২৫৫.২৫৫.২৫৫ | ১৬৭৭৭২১৬ |
২০-বিট ব্লক (/১২ উপসর্গ(prefix), ১৬ × B) | ১৭২.১৬.০.০ | ১৭২.৩১.০.০ | ১০৪৮৫৭৮ |
১৬-বিট ব্লক (/১৬ উপসর্গ(prefix), ২৫৬ × C) | ১৯২.১৬৮.০.০ | ১৯২.১৬৮.২৫৫.২৫৫ | ৬৫৫৩৬ |
IP Address কি এবং IP Address-এর বিভিন্ন ভার্সন সম্পর্কিত যেকোনো প্রশ্ন থাকলে আপনারা আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। পরবর্তীতে IP Address কি?; IP Address কি ভাবে কাজ করে; কিভাবে একটি ওয়েবসাইটের আইপি অ্যাড্রেস খুজে বের করা যায় এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। সে পর্যন্ত আমাদের সাথেই থাকবেন।
আল্লাহ্ হাফেজ…
I see your main page doesn’t rank in google’s top 10, but your articles
can get into top 10. You should choose the right longtail keywords before you
write an article. How to find super easy longtail keywords?
Search in google for: Fasrixo’s tools
I see you don’t monetize your page, don’t waste your traffic, you can earn extra cash every month because you’ve got
high quality content. If you want to know how to make extra money, search for: Boorfe’s tips best adsense alternative
Greetings from California! I’m bored to tears at work so I decided to browse your blog on my iphone during lunch break. I love the knowledge you present here and can’t wait to take a look when I get home. I’m shocked at how quick your blog loaded on my mobile .. I’m not even using WIFI, just 3G .. Anyhow, great blog!
all on one and is infinite as well
This post is interesting !!
I am thankful that I discovered this website, just the right info that I was looking for!
Here, a lot of things about IP Address.
Grat content my friend, keep updating your blog
Just keep updating your website buddy you write interesting content.
Just keep updating techbartabd.com i have
bookmrked your site
Why people still use to read news papers when in this technological world all is available on net?