আসসালামুয়ালাইকুম, আজকে আপনাদের বৈদেশিক শিক্ষা বৃত্তি এবং বিদেশে পড়ালেখার সুযোগ সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করবো। তাহলে শুরু করা যাক…
বাংলাদেশে অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে যারা উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য বিদেশে লেখাপড়া করার কথা চিন্তা করে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা বৃত্তি নিয়ে বিদেশে পড়ালেখার সুযোগ নিয়ে পর্যাপ্ত ধারনা না থাকার কারনে অনেকেই হয়তো এ বিষয়ে ততোটা এগুতে চায় না । আজকের আর্টিকেলে এই বিষয়ে কিছু ধারনা তুলে ধরব।
অনেকেই মনে করেন বিদেশে উচ্চশিক্ষা অনেক ব্যায়বহুল, যার কারনে ইচ্ছা থাকা সত্বেও অনেকেই আর্থিক অসচ্ছলতার কথা ভেবে এই বিষয়ে পা বাড়ায় না। এর মূল কারন হচ্ছে বিদেশে পড়ালেখা সম্পর্কে কি কি প্রয়োজন তা সম্পর্কে সঠিক ধারনা না থাকা। বাংলাদেশের তুলনায় বহিরাগত রাষ্ট্রে পড়াশোনা অনেকটাই ব্যয়বহুল হয়ে থাকে, কিন্তু বিভিন্ন দেশের সরকার উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য পড়তে আগ্রহী বাংলাদেশি শিক্ষার্থী দের জন্য শিক্ষা বৃত্তি বা স্কলারশিপ-এর সুযোগ দিয়ে থাকে। কিন্তু এ বিষয়ে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই অবগত নয়। সে কারনেই ইচ্ছা থাকা সত্বেও অনেকের পক্ষেই বিদেশে উচ্চশিক্ষা একটা স্বপ্ন হয়ে থেকে যায়। বাইরের রাষ্ট্রগুলো তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দিতে পছন্দ করে। বিশেষ ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেক শিক্ষার্থীকে ফুল স্কলারশিপ অর্থাৎ বিনা খরচে পড়ালেখা করার সুযোগ দেয়া হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রেই শিক্ষা বৃত্তি নিয়ে পড়ালেখা করার সুযোগ রয়েছে। শুধু মাত্র সঠিক ধারনাই একজন শিক্ষার্থীকে সহজেই সেই সুযোগ করে দিতে পারে। এশিয়াতে যেমন: চায়না, জাপান, ভারত, সিঙ্গাপুর,মালয়েশিয়া সহ উন্নত রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ র্যাঙ্কিং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ার সুযোগ রয়েছে তেমনি রয়েছে ইউরোপ, আমেরিকা, অষ্ট্রেলিয়ার মতো মহাদেশের উন্নত এবং সর্বোচ্চ স্থান অধিকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করার সু্যোগ রয়েছে। এবং এ বিষয়ে সাধারণ মানুষের ধারনা থাকা দরকার যে, বাংলাদেশ সরকার বিদেশে পড়াশোনার জন্য শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে।
বৈদেশিক শিক্ষা বৃত্তির বিষয় সমূহ
সাধারণত আন্ডারগ্র্যাজুয়েট, গ্র্যাজুয়েট, পিএইচডি ইত্যাদি প্রোগ্রামে স্কলারশিপ দিয়ে থাকা হয়। এতে করে শিক্ষার্থীরা উন্নত পর্যায়ের শিক্ষা লাভ করতে পারে যা বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের পক্ষে অনেকটাই কষ্টসাধ্য হয়ে পরে। বিশেষ বিশেষ স্কলারশিপে শিক্ষার্থীরা চাইলে বিদেশে পড়ালেখার পাশাপাশি পার্ট টাইম জব করার সুবিধাও পেয়ে থাকে। মূলত ইঞ্জিনিয়ারিং, এমবিবিএস, মেরিন, ডিপ্লোমা, হোটেল ম্যানেজমেন্ট সহ উন্নত বিষয়গুলো নিয়েই স্কলারশিপ প্রোগ্রাম করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন স্কলারশিপ প্রোগ্রামে এই বিষয়গুলোর জন্য নির্ধারিত ব্যয় অনেকটাই লঘু করা যেতে পারে, সেজন্য দরকার স্কলারশিপ বিষয়ে পরিপুর্ণ জ্ঞান থাকা।
বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি
বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য যেসব দেশে শিক্ষা বৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে সেগুলো নিম্নরূপ…
- বাংলাদেশীদের জন্য ইউএসএ-তে বৃত্তি।
- বাংলাদেশীদের জন্য স্পেনে বৃত্তি।
- বাংলাদেশীদের জন্য সুইডেনে বৃত্তি।
- বাংলাদেশীদের জন্য ফ্রান্সে বৃত্তি।
- বাংলাদেশীদের জন্য জার্মানিতে বৃত্তি।
- বাংলাদেশীদের জন্য রাশিয়াতে বৃত্তি।
উপরোক্ত দেশগুলোতে শিক্ষা বৃত্তি নিয়ে পড়াশোনার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিচের বাটনে ক্লিক করুন।
ধন্যবাদ! এছাড়াও বাংলাদেশে স্বল্প খরচে অধ্যয়ন করার জন্য যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে সেসব বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের পূর্বের আর্টিকেলটি পড়ে আস্তে পারেন। ইনশাল্লাহ পরবর্তীতে আবার দেখা হবে. সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং TechBartaBD-র সাথেই থাকুন।
আল্লাহ হাফেজ…
আমাদের কাছে বিদেশে লেখাপড়া মানেই কোটি টাকার ব্যাপার। এত টাকার বাড়ি কই?
কিন্তু আসলেই খোজ খবর রাখলে সব জানা যাই, অনেক ধারনা পালটে যাই বিদেশে লেখাপড়ার ব্যাপারে।
তবে আমি বিদেশে পড়ার চেয়ে দেশে পড়ে দেশেই কিছু করাকে পছন্দ করি।
শুধু পড়ার জন্য দেশ ভাষা পরিবার থেকে দূরে থাকা বোকামি।
গুরুত্বপূর্ন মতামত প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ।
অনেক অনেক ভাল একটি ইনফরমেশন দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপানার লেখা আমার খুব ভাল লাগে। সব সময় আপনার পাশে আছি পাশেই থাকব।